সামাজিক মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের স্ট্যাটাস দেখি। প্রেম, বন্ধুত্ব, পরিবার, উৎসব—সব কিছুই সেখানে প্রকাশ পায়। তবে একটি বিষয় খুব কমই সামনে আসে, তা হলো ছেলেদের অনুভব, কষ্ট ও মানসিক চাপ। বিশেষ করে ইমোশনাল ছেলেদের জন্য এটি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, কারণ সমাজের চোখে ছেলেদের কান্না বা দুর্বলতা দেখানো ‘ঠিক নয়’। অথচ বাস্তবে ছেলেরাও কষ্ট পায়, ভেঙে পড়ে, এবং ভালোবাসা বা হারানোর বেদনায় মন খারাপ হয়।
এই পরিস্থিতিতে ইমোশনাল ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস হয়ে উঠতে পারে এক নিঃশব্দ ভাষা। এটি এমন এক মাধ্যম, যার মাধ্যমে একজন ছেলে তার মনের চাপ, হতাশা বা নিরাশা প্রকাশ করতে পারে—বিনা প্রশ্নে, বিনা বিচারেই। “সবাই ভাবছে আমি শক্ত, অথচ ভেতরে আমি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছি”—এই রকম একটি লাইন কেবল একজন অনুভূতিপূর্ণ ছেলেই বুঝতে পারে।
অনেক সময় সম্পর্কের ভাঙন, বন্ধুর বিশ্বাসভঙ্গ বা পরিবারের চাপ—সব মিলে এক ধরনের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ শুরু হয়। কিন্তু তা প্রকাশ করার কেউ থাকে না। এই কারণেই অনেক ইমোশনাল ছেলে স্ট্যাটাসে নিজের কষ্টের কথা বলেন। সেখানে হয়তো থাকে কিছু না বলা কথা, একটুকরো অভিমান, অথবা মনের ভিতরের চিৎকার।
এ ধরনের স্ট্যাটাস শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশ নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ও মানসিক ভারসাম্য ফিরে পাওয়ার একটি উপায় হতে পারে। বন্ধুদের কেউ যদি তা দেখে অনুভব করে এবং পাশে এসে দাঁড়ায়, তবে তা একজন ইমোশনাল ছেলের জীবনে বড় সহায়তা হতে পারে।
তাই সমাজের উচিত ছেলেদের অনুভূতি ও কষ্টকে গুরুত্ব দেওয়া। তারা ‘শক্ত’ বলেই সব সময় হাসবে—এ ধারণা ভেঙে ফেলতে হবে। বরং আমরা যদি একটু শুনি, একটু বোঝার চেষ্টা করি—তবে হয়তো একজন ছেলের জীবন বদলে যেতে পারে। স্ট্যাটাস শুধু সোশ্যাল পোস্ট নয়, কখনও কখনও তা আত্মার কথা বলার একমাত্র উপায়।
আপনিও যদি একজন ইমোশনাল ছেলে হন, মন খারাপের দিনগুলোতে নিজের মতো করে কিছু লিখুন, পোস্ট করুন—আপনার কষ্টের সঙ্গী নিশ্চয়ই কেউ হবে।